অরুন্ধতী রায়ের তিন টি বই

Features :
Brand :

Condition :

New

Description :

পুঁজিবাদ

বিষাক্ত নদী, পরিত্যক্ত দেয়াল, বিরান বন থেকে শুরু করে লাখের ওপর যে কৃষকেরা ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে, যারা প্রতিদিন মাত্র দুই ডলারের উপর দিন কাটায়; ভারতের সর্বত্র তাদের অতিপ্রাকৃত আত্মার দেখা মিলে। ভারত ১.৩ বিলিয়ন জনতার দেশ। তবে, সবচেয়ে বিত্তবান ১০০জনের অর্থই দেশের মোট জিডিপির এক চতুর্থাংশ।


“অরুন্ধতী উত্তপ্ত ভাষায় প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন যে, আমাদের সংকুচিত গণতন্ত্রে মানব বর্ণের ইতি হবে কি না। আর বিস্তারিতভাবে দেখিয়েছেন, খুব সহজে একে ধ্বংস করা যাবে না।”
-নোয়াম চমস্কি।


নিঁখুতভাবে লেখা স্পষ্টবাদী গদ্য। ভয়াবহ সৌন্দর্যের ভাষায় সে ভারতের প্রতিদিনের এই ধরনের ঘটনা নিয়ে আমাদের আবারো ক্ষুব্ধ হওয়ার কথা মনে করিয়ে দেয় ।
-টাইমস


পুঁজিবাদ: একটা ভৌতিক গল্প পরখ করে সমসাময়িক ভারতের গণতন্ত্রের কুৎসিত দিকগুলো আর দেখায় কীভাবে বৈশ্বিক পুঁজিবাদের চাহিদা কোটি মানুষের মন জয় করে স্থাপন করেছে বর্ণবাদ আর শোষণ।





আজাদীর লড়াই

কাশ্মীর। অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই উপত্যকা আজ বিশ্বের সবচেয়ে বেশী রক্তাক্ত এবং একইসাথে অন্ধকারাছন্ন সামরিক আগ্রাসনের শিকার এক উপত্যকার নাম। পাকিস্তান সমর্থিত ভারত বিরোধী আন্দোলনে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ। কাশ্মীরের এই বধ্যভূমি যেন ছাড়িয়ে গিয়েছে ফিলিস্তিন ও তিব্বতকেও। এর সাথে যোগ করুন প্রতিদিনের অবাধ গ্রেফতার, কারফিউ, রেইড, চেকপয়েন্ট। প্রায় ৭ লক্ষ ভারতীয় সৈন্য অব্যাহত ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে এই জুলুম। উপত্যকার চল্লিশ লাখ মুসলিমরা আজ শিকার হচ্ছে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ আর অকথ্য সব নির্যাতনের, যার মধ্যে আছে গোপনাঙ্গে বৈদ্যুতিক তার ঢোকানোর মত নানারকম ভয়ংকর, বর্বরোচিত টর্চার।


তাহলে কেন, কোন কারণে কাশ্মীরের এই চরম মানবিক দুর্দশাগুলো আমাদের নৈতিক চিন্তায় কেমন যেন একটা অদৃশ্য, দুর্বোধ্য রূপ নিয়ে আছে? পঙ্কজ মিশ্র, ভূমিকা থেকে…


ঘরের মাটিতে ন্যায়বিচার আর আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের দাবিতে চালিয়ে যাওয়া কাশ্মীরিদের আন্দোলন উপেক্ষিত হয়ে আছে তাদের মাতাল রাজনীতিবিদদের কাছে, ঠিক যেমনটা এই আন্দোলন উপেক্ষার শিকার হয়ে আসছে পাকিস্তানের কাছে। আন্তর্জাতিকভাবে তাদের এই যুদ্ধ হয়েছে বিস্মৃত, অবহেলিত। কেননা পশ্চিমা বিশ্ব নারাজি দেখিয়েছে তাদের আঞ্চলিক মিত্র ভারতের উপর কোন প্রকার চাপ প্রয়োগ করতে। আযাদির লড়াই (কাশ্মীর দ্য কেস ফর ফ্রীডম) বইটি হচ্ছে এই ভারসাম্যহীনতা নিরসন করার এবং আমাদের নৈতিক কল্পনাশক্তির শূন্যস্থান পূরণ করার একটি আবেগময় প্রচেষ্টা মাত্র। কাশ্মীরের অতীত-বর্তমান এবং দখলদারিত্বের কারণ ও প্রতিকার তুলে ধরে লেখকবৃন্দ এই বইয়ে উচ্চকিত করেছেন ভারতীয় বাহিনীর প্রত্যাহার ও কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের দাবি তুলে ধরা এক জোরালো আহবানের…





একটি ফাঁসির জন্য

১৩ই ডিসেম্বর ২০০১, ভারতের ন্যাশনাল পার্লামেন্টে হামলা করে পাঁচজন সশস্ত্র লোক। পাঁচজনই নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা হামলায় নিহত হয়। এখান থেকেই শুরু হয় চারজন নিরপরাধ ব্যক্তির রাজনৈতিক ও আইনী গোলকধাঁধায় ফেঁসে যাওয়ার গল্প।


হামলার ষড়যন্ত্রে জড়িত সন্দেহে আটক করা হয় আফজাল, গিলানী, শওকত ও তার স্ত্রী নবজোতকে। এই চারজনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যাকে নিয়ে জলঘোলা হয়েছে তিনি আফজাল গুরু।


আফজাল গুরু কী আসলেই হামলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন? নাকি তাকে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে?


অরুন্ধতী রায়ের কথায়, “এই বই যে পড়বে, সে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হবে যে, আফজাল গুরুকে যে অপরাধের জন্য ফাঁসি দেয়া হয়েছে সেই অপরাধে তিনি দোষী সাব্যস্ত হননি।”


তাহলে কী ভারত সরকার একজন নিরপরাধকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে? কী ছিলো আফজালের গল্পে?


সন্দেহজনক তদন্ত ও বিচারিক ত্রুটি, মিডিয়া, সরকার সবাই আফজালকে পৌঁছে দিয়েছে মৃত্যুর কোলে। শুধুমাত্র “একটি ফাঁসির জন্য” ভারত সরকার, ভারতের জনগণ, বিচার ব্যবস্থা, মিডিয়া এবং তদন্তে নিয়োজিতরা কী নিকৃষ্ট ভূমিকা পালন করেছিলো!


আফজাল গুরুর ফাঁসি নিয়ে তৈরী হয়েছে হাজারটা প্রশ্ন। “একটি ফাঁসির জন্য” বইটিতে সেই প্রশ্নের অধিকাংশ উত্তরই পাঠক উপলব্ধি করতে পারবে।

Ad Owner :
Projonmo Publication
Projonmo Publication

Member Since 2021

Projonmo Publication, 34 northbrook hall road, Bangladesh

View Store
Click to See Number
Contact Seller :

Subscribe For Update